ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে চীন গালওয়ান নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্ত বা বদলানোর চেষ্টা করছে।
চীন থেকে আসা গালওয়ান নদীটি লাদাখের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, ভারত-চীন সীমান্তের খুব কাছাকাছি গালওয়ান নদীর কাছে বুলডোজার জড়ো করেছে চীন। যেখানে বুলডোজারগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা আছে, সেখান থেকে ক্ষীণ ধারায় নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে বুলডোজার দাঁড় করিয়ে কাদামাটি ফেলে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হতে পারে।
আরেকটি ছবির কথা তুলে ধরে এনডিটিভি জানিয়েছে, দুই কিলোমিটার দূরে এই নদীর ধারেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানেই ভারতীয় সেনারা প্রহরায় থাকে। নিরাপত্তার কারণে সংবাদমাধ্যমটি ওই ছবি প্রকাশ করেনি।
এই বিষয়ে ভারতে চীনা দূতাবাসে এনডিটিভি’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গালওয়ান উপত্যকা দিয়ে নদীর প্রবাহ বিদ্যমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়।
ওই সংঘাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার কথা জানায় দিল্লি। আহত সেনার সংখ্যা অন্তত ৭৬। শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে, চীন কর্তৃক আটক ১০ ভারতীয় সেনা সদস্যকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি এবং আটকের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে। শুক্রবার সর্বদলীয় এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, লাদাখে ভারতীয় সীমান্তে কেউ প্রবেশ করেনি এবং কোনও ফাঁড়িও দখল হয়নি।
বুধবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) আরও সংঘাত এড়াতে ভারত ও চীনের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়। তবে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।