ওই মার্কেট ছাড়াও হুয়াকিয়াংবেই এলাকার সব দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধ থাকবে। তবে হাসপাতাল ও সুপারমার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ওই মার্কেটে কমপিউটারের যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোনের যন্ত্র ও মাইক্রোচিপসহ সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।
হুয়াকিয়াংবেই এলাকায় সম্প্রতি ১১ জনের করোনা শনাক্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে মার্কেটের প্রধান ফটকের সামনে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। এতে বলা হয়, অঞ্চলটিতে কয়েকজনের কোভিড শনাক্ত হওয়ায় মার্কেট আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আশেপাশের বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ছাড়া তাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
চীন বিশ্বের সবশেষ দেশ যা এখনো কঠোর শূন্য-কোভিড ব্যবস্থা প্রয়োগ করছে। যেখানে ব্যাপক ডিজিটাল নজরদারি, গণ পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনে এবং লকডাউনের ওপর নির্ভর করে আসছে দেশটির সরকার।
১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কেন্দ্র শেনজেন। যেখানে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যাদের ১১ জনেরই উপসর্গবিহীন। ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ও কঠোর লকডাউন আদেশের অধীনে রাখা হয়েছে শহরটিকে।
এদিকে, লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলোতেও বিনোদন কেন্দ্র ও পাবলিক পার্কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং সম্মেলন ও পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে স্কোয়ারে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ হুয়াকিয়াংবেই ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটসহ শেনজেন জুড়ে ২৪টি পাতাল রেল স্টেশন এবং কয়েকশ বাস স্টেশনও বন্ধ করে দিয়েছে।