দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, চীনা সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে ভারত থেকে প্রবেশ করা গেলেও চীনে এতদিন পর্যন্ত শুধু ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সার্ভার ব্যবহার করেই ভারতীয় মিডিয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যেতো। কিন্তু গত দুই দিন ধরে দুই দিন ধরে আইফোন ও ডেস্কটপে কাজ করছে না এক্সপ্রেসভিপিএন।
ভিপিএন হলো এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিজেদের আইপি অ্যাড্রেস গোপন রাখতে পারেন। এতে করে ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ডে নজর রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে চীন শক্তিশালী প্রযুক্তি তৈরি করেছে যার ফলে ভিপিএনও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
বিশ্বে যেসব দেশে কঠোর অনলাইন সেন্সরশিপ চালু আছে চীন সেগুলোর একটি। দেশটির কাছে রয়েছে গ্রেট ফায়ারওয়াল নামের একটি অত্যাধুনিক নজরদারি ও সেন্সরশিপ ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়। ওই সংঘর্ষের পর ভারতে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়তে শুরু করেছে। ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেশটির তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫৯টি চীনা অ্যাপস নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা অ্যাপসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, ইউচ্যাট, বিগো লাইভ, ক্ল্যাশ অব কিংস, ডিইউ রেকর্ডার ও ভিভা ভিডিও।