গত আগস্ট মাসে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে অর্থাৎ ব্রেক্সিট ভোটের পর পাউন্ডের এতটা দরপতন হয়েছিল।
শুক্রবার ১ পাউন্ডের বিপরীতে বিপরীতে ১ দশমিক ১৫ ডলার মিলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে নেতিবাচক পূর্বাভাসের কারণে পাউন্ডের এই দরপতন। দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। জ্বালানির দাম এত বেড়েছে যে দেশটির অনেক মানুষ জ্বালানি দারিদ্র্যের কবলে পড়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি এতটা গুরুতর যে আসন্ন শীতে মানুষ ঘর করবে কীভাবে, তা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কায় আছে। পরিবারের বার্ষিক জ্বালানির ব্যয় ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস। আগামী জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ১৯ শতাংশে উঠতে বলেও পূর্বাভাস আছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলছে, বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশটি অবধারিতভাবে মন্দার কবলে পড়বে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইতিমধ্যে দেশটির জিডিপি সংকোচন হয়েছে।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টেকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক লরা ল্যাম্বি বিবিসিকে বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না’। তিনি আরও বলেন, বাজারের ওপর মন্দার ছায়া ঘনিয়ে উঠছে। বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য মন্দার কবলে থাকতে পারে।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি সংকোচনের পর আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের জন্য আরও খারাপ খবর হলো, ২০২০ সালের মে মাসের পর চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশটির উৎপাদন খাত সংকুচিত হয়েছে।
এদিকে দেশটির গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ও আগামী বছর মিলে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক পারিবারিক আয় ১০ শতাংশ বা ৩ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে শতাব্দীর সবচেয়ে গভীর সংকোচনের মুখে পড়বে যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রা। ফলে ব্রিটেনে নতুন যিনি প্রধানমন্ত্রী আসছেন, তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে জীবিকার সংকট মোকাবিলা করা। সূত্র: বিবিসি