লোকসান এড়াতে তাই বাধ্য হয়েই ছাঁটাইয়ের পথে যেতে হচ্ছে বাঘা বাঘা বিমান সংস্থাকে। আগামী এক বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
বর্তমানে ব্যবসায় খুবই মন্দা যাচ্ছে এয়ারবাসের। গত কয়েক মাসে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। তাই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারবাস।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যে ১৭০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। এছাড়া ছাঁটাইয়ের তালিকায় জার্মানির কয়েক হাজার কর্মীও রয়েছেন।
এখন আপাতত ইউরোপের দেশগুলোর সরকারগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ত্রাণ এবং ভবিষ্যতে কোন কোন বিষয় অগ্রাধিকার দেয়া হবে তার মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে এয়ারবাস।
ইউরোপের সর্ববৃহৎ এয়ারস্পেস গ্রুপটি জানিয়েছে, ফ্রান্সে ৫০০০টি, জার্মানিতে ৫১০০, স্পেনের ৯০০, যুক্তরাজ্যে ১৭০০ এবং অন্যান্য জায়গায় ১৩০০ পদ বিলুপ্ত হতে পারে ২০২১ সালের মাঝামাঝি। সবমিলিয়ে এ সংখ্যাটা ১৪ হাজার।
এর আগে গত ৩ জুন বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল এয়ারবাসের ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা। তবে আশা করা হচ্ছে, এই সংখ্যাটা ১৫ হাজার হতে পারে।
ব্রিটেনের ইউনাইট ইউনিয়নের মতে, এটা শিল্প ক্ষেত্রে নৈরাজ্য। ফ্রান্সের কট্টর বাম ইউনিয়ন এবং অন্যান্যরা জানিয়েছে, এই বাধ্যতামূলক ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করবেন তারা। ইতোমধ্যে বিমান পরিবহন খাতের জন্য ১৫ মিলিয়ন ইউরোর প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
তবে একেবারে বরখাস্ত করার পরিবর্তে স্বেচ্ছা অবসর, সময়ের আগে অবসর ইত্যাদি ব্যবস্থা নিচ্ছে এয়ারবসা। প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ গুইলম ফৌরি দাবি করেছেন, শিল্পক্ষেত্রের এই সংকটকালে ছাঁটাই ছাড়া তাদের কাছে বিকল্প আর কোনো রাস্তা নেই।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এক লাখ ৩৪ হাজারের কিছু বেশি কর্মী রয়েছে এয়ারবাসের। এর মধ্যে ১০ শতাংশ কর্মীই যুক্তরাজ্যের।