কাজল ও তার পরিবারের এমন সীমাহীন দুঃখের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন সীতাকুণ্ডের অন্যতম দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।সংগঠন দুটি হলো #প্রথম_প্রহর_ফাউন্ডেশন_বাংলাদেশ ও পেশকার পাড়া যুব সংগঠন । সীতাকুণ্ডের এই দুই সংগঠন নিয়েছে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ।আর তাদের সেই অনন্য উদ্যোগ পাল্টে দিয়েছে কাজলদের জীবন।সংসারে ফিরেছে স্বস্তি।
উক্ত সংগঠন দুটির অর্থায়নে কাজলকে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে সুন্দর একটি বসতঘর।টিন শেড দিয়ে করা হয়েছে দুটি রুম।সৃষ্টি করা হয়েছে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ।ফলে কাজলরা নিচ্ছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
৫ জুলাই রবিবার বিকাল ৫ টায় নবনির্মিত সেই ঘরখানা বুঝিয়ে দেওয়া হয় কাজল ও তার স্বামীকে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা মণিষার প্রধান নির্বাহী আজমল হোসেন হিরু।এতে আরো উপস্থিত ছিলেন পেশকার পাড়া যুব সংগঠন এর সহ সাধারণ সম্পাদক আনিসুল ইসলাম তুহিন,প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সভাপতি মোঃজিল্লুর রহমান শিবলী, প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন এর সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সোহেল,পেশকার পাড়া যুব সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃসালাউদ্দিন,সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি এম কে মনির, প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন এর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর।
এসময় প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মোঃজিল্লুর রহমান শিবলী বলেন,মানুষ মানুষের জন্য। কাজলের কষ্টের কথা শুনে আমরা বসে থাকতে পারিনি।আমরা সকলে চাইলে কাজলের পরিবারটিকে আরো সুন্দর করে দিতে পারি।
এসময় পেশকার পাড়া যুব সংগঠন এর সহ সাধারণ সম্পাদক আনিসুল ইসলাম তুহিন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাজলের কষ্ট আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমরা কাজলের দুই সন্তানকে একটি এনজিও সংস্থা থেকে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছি।নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি।ভবিষ্যতে কাজলের ঘরে টেবিল,ফ্যান,চেয়ার ইত্যাদি ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলে আমরা সে কাজে সফল হবো।
দুটি সংগঠনের এমন উদ্যোগের বিষয়ে প্রধান অতিথি আজমল হোসেন হিরু বলেন,তারা যেই উদ্যোগ নিয়েছে তা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমি তাদের এমন কাজকে সাধুবাদ জানাই।তবে কাজলের ঘরটি এখন শূন্য। কিছু আসবাবপত্র খুব বেশি প্রয়োজন।কাজলের পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে সীতাকুণ্ডের মানবিক বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ মাসুদ।
উল্লেখ্য কাজল রেখা সীতাকুণ্ড উপজেলার পূর্ব মুরাদপুর ইউনিয়নের পেশকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।