গতকাল দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে অনেক দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনগণের চলাচলের উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এতে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকা দেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে ইতোমধ্যে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ চরম দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে নতুন করে আরও ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে বলে অক্সফামের রিপোর্টে বলা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের ২৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে ছিলেন। চলতি বছরের মে মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ লাখ।
গত এপ্রিলে প্রতিদিন বিশ্বে গড়ে দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকটের কারণে অনাহারে প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে অক্সফামের রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আফগানিস্তান এবং ইয়েমেন ছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, ভেনেজুয়েলা, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল, ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া এবং হাইতির মতো দেশ বর্তমানে চূড়ান্ত দরিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।