ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ভঙ্গুর প্রকৃতিকে তুলে ধরেছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে কোম্পানিগুলোকে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাপানের মুদ্রার মান কমে ২৪ বছরের মধ্যে কমে সর্বনিম্ন হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে জাপানের আমদানি বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ক্রুড তেল, কয়লা ও এলএনজি বাবদ বেশি খরচের কারণে এমন পরিসংখ্যান দেখা গেছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।
জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, আমদানি রয়টার্সের জরিপের পূর্বাভাস ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া একই মাসে রপ্তানি বছরে ২২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে।
নরিনচুকিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকেশি মিনামি বলেন, কাঁচামালের উচ্চ মূল্য অব্যাহত থাকায় ও সরবরাহের ব্যাঘাত কম হওয়ায় আমদানি বাড়ছে। একই সময়ে কমেছে রপ্তানি।
তিনি বলেন, যদি আমদানি বাড়ে তাহলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই খরচ বাড়তে থাকবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে পারে।
গত ১৩ মাস ধরেই জাপানে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আগস্টে এসে ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে, যা রয়টার্সের জরিপের ২ দশমিক ৩৯৮২ ট্রিলিয়ন ইয়েনের ঘাটতির পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।