সোমবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২ শতাংশ (ডাউন পেমেন্ট) টাকা জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নবায়ন (পুনঃতফসিল) করা যাবে। এ সুবিধা পেতে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এছাড়া আগের প্রজ্ঞাপনের সব শর্ত ও নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
ব্যাংকাররা জানান, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী আগের বছরের পুরো টাকা পরিশোধ না করে নতুন ঋণের আবেদন করতে পারেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। যদি কোনো গ্রাহক বছর শেষে মোট ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে, তাহলে পরের বছর পরিশোধিত অঙ্কের সমান ঋণ নিতে পারেন। এবছর করোনাভাইরাসের কারণে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এসব গ্রাহককে কি পরিমাণ ঋণ দেয়া হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর।
গত ৫ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাত্র ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে চামড়ার ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। এ সুবিধা পেতে হলে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এ ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঋণগ্রহীতাদের আওতার বাইরে কোনো কারণে ঋণ শ্রেণিকৃত হয়ে থাকলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল থাকলে তা পুনঃতফসিল সুবিধা দেয়া যাবে। কেস-টু-কেস ভিত্তিতে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তলবি ও চলমান ঋণ সর্বোচ্চ ৬ বছর এবং মেয়াদি ঋণ সর্বোচ্চ ৮ বছর পর্যন্ত পুনঃতফসিল করা যাবে।
এছাড়া কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনার জন্য নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করা যাবে। খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের পর নতুন ঋণ নেয়ার আগে সাধারণত ঋণ স্থিতির ১৫ শতাংশ জমা দিতে হয়। একে কম্প্রোমাইজ অ্যামাউন্ট বলে।