ওমানের জাতীয় দৈনিক, আল জাজিরা এবং খালিজ টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে, আরব বিশ্বের দীর্ঘদিনের শাসক সুলতান কাবুস বিন সাঈদ শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যানসার ও বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তার উত্তরসূরী হিসেবে হাইথাম বিন তারিক আল-সাঈদ সুলতান হলেন।
সুলতান হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন সদ্যপ্রয়াত সুলতান কাবুসের তিন চাচাতো ভাই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ, উপ-প্রধানমন্ত্রী তারিক আল সাঈদ ও সাবেক নৌকমান্ডার সিহাব বিন তারিক আল সাঈদ। তবে শেষ পর্যন্ত হাইথাম বিন তারিককে সুলতান হিসেবে নির্বাচিত করা হলো।
দেশটির দুটি দৈনিকের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওমানের নতুন শাসক হাইথাম বিন তারিক আল-সাঈদ আজ শনিবার শপথ নেবেন। এছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার রাজপরিবারের বরাতে তার নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানে ১৯৭০ সালে বাবা সাঈদ বিন তৈমুরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ওমানের ক্ষমতায় বসেন সুলতান কাবুস। দেশটির আল সাঈদ রাজবংশের ১৪তম প্রজন্ম ছিলেন তিনি। তবে তার মৃত্যু ও একটি গোপন খাম ঘিরে দেশটির পরবর্তী সুলতান কে হবেন তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছিল।
ওমানের সুলতান একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ওমানের সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে পরবর্তী সুলতানকে বেছে নেবেন তারা। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে বা মতবিরোধ দেখা দিলে বিকল্প পথে এগোতে হবে তাদের।
সুলতান নির্বাচনের প্রাথমিক দায়িত্ব অর্পিত প্রায় ৫০ সদস্যের রাজপরিবার পরিষদের ওপর। তারা একমত হতে না পারলে শেষ ভরসা হিসেবে রয়েছে সুলতান কাবুসের রেকর্ড করা সিলমোহরকৃত একটি গোপন খাম হতো শেষ ভরসা। তবে সুলতান কাবুস ওই খামে কার নাম লিখে গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
প্রতিরক্ষা পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্ট ও পরামর্শ পরিষদের চেয়ারম্যানরা সুলতানের রেখে যাওয়া গোপন খামটি খুলবেন। রাজপ্রাসাদে সুরক্ষিত ওই খামে সুলতান নিজের পছন্দের উত্তরসূরির নাম বলে গেছেন। সে মতে, সুলতানের মুকুট যাওয়ার কথা গোপন খামে থাকা ওই ব্যক্তির মাথায়।