আরও গুরুত্ব দিয়ে সরকারিভাবে জাতীয় বিমা দিবস পালন করা হবে। এজন্য জাতীয় বিমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসাবে ঘোষণা ও দিবসটি উদযাপনের লক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারি করা পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের জাতীয় বিমা দিবস পালন করা হয় ১ মার্চ। সেটা ‘খ’ তালিকার মধ্যে ছিল। মন্ত্রণালয় বলছে এটার অনেক গুরুত্ব রয়েছে এটাকে ‘ক’ তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার করতে হবে, যাতে মানুষকে আরও বেশি করে ইনস্যুরেন্সের কভারেজে আনা যায়।
‘আমরা অনেকেই জানি না ইনস্যুরেন্স থাকলে বিপদের সময় অনেক কাজে লাগে। এ বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সেজন্য ‘ক’ তালিকায় এনে যদি প্রচারণা করা যায়। তাহলে একটি পজেটিভ ফল আসবে।’
তিনি বলেন, সভায় ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০)’ এর খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। তবে এটিকে যুগোপযোগী করতে ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। এসডিজি-২০৩০, ভিশন-২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এবং আন্তর্জাতিক যে প্রতিশ্রুতি আছে, সেই অনুযায়ী আমাদেরকে একটা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা করতে হয়, এটা তারা আজকে উপস্থাপন করেছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এখানে ৯০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মধ্য অগ্রাধিকার দিয়ে একটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম উপস্থাপন করেছেন এবং এটি বাস্তবায়ন করতে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। এটা আনার পরে কেবিনেট দেখে বলেছে, আরেকটু মোডিফিকেশন করতে হবে। আজকের জন্য ফেরত দিয়ে দিয়েছে। মোডিফিকেশন করে তারপর নিয়ে আসতে হবে।