সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ফু-ওয়াং সিরামিকের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে যা ছিল ৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩২ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
সমাপ্ত হিসাব বছরে ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬২ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১১ টাকা ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ৫৬ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বরর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৫ পয়সা।
২০১৮-১৯ হিসাব বছরে মুন্নু সিরামিকের রাজস্ব আয় হয়েছে ১০৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব বেড়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে মুন্নু সিরামিকের নিট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে মুন্নু সিরামিকের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১১ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা, আগের বছর শেষে যা ছিল ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে মুন্নু সিরামিক।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৯৩ পয়সা।
গত হিসাব বছরে সিরামিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করেছে শাইনপুকুর সিরামিকস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মোট বিক্রি হয়েছে ১৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে তাদের বিক্রি ছিল ১৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব বেড়েছে ৪৫ লাখ টাকা বা দশমিক ২৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে শাইনপুকুর সিরামিকসের নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
২০১৮-১৯ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪২ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৮ টাকা ৬৮ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কেম্পানিটি।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শাইনপুকুর সিরামিকসের ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৯৯ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের চেয়ে ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ২৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ কোটি ২ লাখ টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে তাদের নিট মুনাফা কমেছে ২০ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা।
পুরনো চুল্লি সংস্কারের জন্য গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কারখানার বড় একটি অংশের উৎপাদন বন্ধ ছিল স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের। এর ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২৭ পয়সা।