যতসম্ভব ফ্রিজের দরজা বন্ধ রাখুন : বিদ্যুৎ সংকটের সময় একটি বন্ধ রেফ্রিজারেটর তার তাপমাত্রা ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) মতে, খাবারে অর্ধেক পূর্ণ একটি ফ্রিজার ২৪ ঘণ্টা ও খাবারে পুরোপুরি পূর্ণ ফ্রিজার ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে। রেফ্রিজারেটরের দরজা বারবার খোলা হলে এর ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংকটের সময় খাবার তাজা রাখতে, ফ্রিজের দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
ফ্রিজারে খাবার স্থানান্তর : রেফ্রিজারেটরের তুলনায় ফ্রিজার দীর্ঘক্ষণ তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে বলে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর মতামত। তাদের পরামর্শ মতে, খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে একটা সময় পর কোনো খাবারকে রেফ্রিজারেটর থেকে সরিয়ে ফ্রিজারে রাখা যেতে পারে। যদিও বাংলাদেশের আবহাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তুলনামূলকভাবে গরম, তারপরও এই পরামর্শ অনুসরণ করে যে খাবারগুলো আপনার এখনই প্রয়োজন হচ্ছে না, সেগুলো নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
কুলপ্যাক ফিচার : নতুন করে যারা ফ্রিজ কিনছেন তারা শুধু ব্র্যান্ড মাথায় না রেখে প্রযুক্তিগত দিকটিও খেয়াল রাখবেন। সম্প্রতি কুলপ্যাক নামে একটি ফিচার রেফ্রিজারেটরে যুক্ত করছে স্যামসাং, এলজি ও ওয়ালটনের মতো কিছু ব্র্যান্ড। বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্রিজারে তাপ শোষণ করে নিতে পারে কুলপ্যাক ফিচার। ফলে বিদ্যুৎ ছাড়াও ফ্রিজের ভেতর খাবার দীর্ঘসময় ঠাণ্ডা থাকে। এই কুলপ্যাক ফিচার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১২ ঘণ্টা বেশি সময় ঠান্ডা ধরে রাখতে পরে।