দেশটির উত্তরাঞ্চলের ওই প্রদেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার পাঞ্জাবের অমৃতসর রুরাল, গুরুদাসপুর ও তরণ তারণর নামক তিন জেলায় ১০০ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এর সঙ্গে যুক্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে প্রসাশন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম কলকাতা ২৪ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাঞ্জাবের তরণ তারণ জেলায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯ । শনিবার তা বেড়ে ৪২ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অমৃতসরে ১১, বাটালা আর গুরুদাসপুরে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পাঞ্জাবের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ কুলবন্ত সিং জানান, শনিবার তরণ তারণ জেলায় নতুন করে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার সদর আর শহর এলাকায় বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
পাঞ্জাবের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিষমদ পানে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের তুলনায় আরও বেশি। কারণ ভুক্তোভোগী অনেক পরিবার বিষয়টিকে সামনে আনতে চাচ্ছেন না। কোনো অ্যাকশন নেয়া হোক সেটা চাইছেন না তারা। অনেকে আবার মৃতের পোস্টমর্টেমও করতে দিচ্ছেন না। তাই বিষপানে মৃত্যুর আসল সংখ্যাটি নিরুপণ করা যাচ্ছে না।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার মতো একই বক্তব্য দিয়ে গুরুদাসপুরের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ ইসফাক বলে, অনেক পরিবার এটাই স্বীকার করছে না যে, তাদের পরিজনের মৃত্যু বিষাক্ত মদ খেয়ে হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মৃত্যু ঘটেছে বলে জানাচ্ছে পরিবারগুলো।
লকডাউনের কারণে মদের দোকান বন্ধ থাকায় ঘরে বানানো চোলাই মদ খেয়েই এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পাঞ্জাব পুলিশের। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতি মৃতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হবে।
শুক্রবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেছিলেন, বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। জালন্ধর ডিভিশনের কমিশনার এ তদন্ত পরিচালনা করবেন। দোষীদের কোনো অবস্থাতেই রেহাই মিলবে না।