মাছ
সার্ডিন, টুনা, স্যামন ইত্যাদি মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। এ জাতীয় মাছ খেলে ভালো থাকে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য। এসব মাছে কেবল ভিটামিন-১২ ই থাকে না, সেইসঙ্গে থাকে অন্যসব পুষ্টি উপাদানও। প্রোটিন থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ এবং বি-৩ সবই রয়েছে এসব সামুদ্রিক মাছে।
ডিম
একটি সেদ্ধ ডিমে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-১২ থাকে। পুরো ডিম খাওয়া দরকারি হলেও ভিটামিন বি-১২ এর বেশিরভাগ থাকে ডিমের কুসুমে। এছাড়াও প্রোটিন ও ভিটামিন বি এর ভালো উৎস হলো ডিম। বিশেষ করে এতে ভিটামিন বি২ ও বি১২ বেশি থাকে। যে কারণে আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখা জরুরি।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ জাতীয় খাবার যেমন দুধ, দই এবং চিজ ভিটামিন বি-১২ এর দুর্দান্ত উৎস। এতে আরও আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ডি, জিংক ও পটাশিয়াম থাকে। আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এ ধরনের খাবার যুক্ত করুন। দুধ বা এ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে কোনো ধরনের অস্বস্তি বা সমস্যা বোধ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শাক-সবজি
আপনি যদি শাক-সবজি খেতে বেশি পছন্দ করেন তবে সেই তালিকায় পালং শাক, বিটরুট, মাশরুম এবং আলু রাখুন। কারণ এ ধরনের শাক-সবজিতে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি-১২। তবে কেবল শাক-সবজি থেকেই এই ভিটামিন সবটুকু পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
ফ্যাট ছাড়া মাংস
বেশিরভাগ ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায় প্রাণিজ উপাদান থেকে। ফ্যাট ছাড়া মাংস যেমন বিভিন্ন সী ফুড, ভেড়ার মাংস, মুরগির মাংস খেতে পারেন। এ ধরনের মাংস খেলে তা ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি দূর করে, সেইসঙ্গে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, নিয়াসিন, জিংক ও আয়রনও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত। এ ধরনের খাবার কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে শক্তি বাড়াতেও কাজ করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
অর্থসংবাদ/এনএন