জাপানে মূল্যস্ফীতির চাপ ঊর্ধ্বমুখী। চলতি মাসে দেশটির রাজধানী টোকিওতে ভোক্তা পর্যায়ে কোর মূল্যস্ফীতি চার দশকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ মাসে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের ওপরে রয়েছে। সহজ মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর রয়টার্স।
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানি বিল মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি ক্ষণস্থায়ী হবে বলে দেয়া ব্যাংক অব জাপানের প্রাক্কলন নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
তাজা খাবার বাদ দিয়ে হিসাব করা টোকিওর কোর মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেখানে অর্থনীতিবিদরা ৩ দশমিক ৫ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। অক্টোবরে কোর ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বাড়ার হার ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮২ সালের অক্টোবরে শহরটির কোর মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছিল।
চলতি মাসে কোর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বিদ্যুতের বিল ও খাদ্যের দাম। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হার কমে যাওয়ায় আমদানি খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।
নভেম্বরে পরিষেবার মূল্য এক বছর আগের তুলনায় দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অক্টোবরে এ হার দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছিল। টেকসই পণ্যের দাম অক্টোবরে বছরওয়ারি ৭ শতাংশ বাড়লেও চলতি মাসে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল প্রকাশিত ব্যাংক অব জাপানের তথ্যানুসারে, করপোরেট পরিষেবা মূল্য সূচকের বৃদ্ধি কিছুটা ধীর হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এ সূচক বছরওয়ারি ২ দশমিক ১ শতাংশ বাড়লেও অক্টোবরে ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থসংবাদ/এনএন