জিতলেই নকআউট নিশ্চিত পর্তুগালের

 জিতলেই নকআউট নিশ্চিত পর্তুগালের

আজ উরুগুয়ে বিপক্ষে গ্রুপ-‘এইচ’-এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হতে পারলেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল এক ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্বে টিকিট পাবে। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ১৬-তে উরুগুয়ের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। সেই সাথে হয়ে যাবে পর্তুগালের প্রতিশোধও।





ফার্নান্দো সান্দোসের পর্তুগাল আফ্রিকান ঘানার বিপক্ষে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩-২ গোলের উজ্জীবিত জয় দিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করেছে। অন্য দিকে উরুগুয়ে এশিয়ান জায়ান্ট দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।





ঘানার সাথে পর্তুগালের হয়ে পেনাল্টিতে প্রথম গোলটি করে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার বিরল এক কৃতিত্ব গড়েছেন রোনালদো। ম্যাচের অনেকটা সময়জুড়েই পর্তুগাল ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ওসমান বুকারির ৮৯ মিনিটের গোলে হঠাৎ করেই আফ্রিকান জায়ান্টরা ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। শেষ মুহূর্তে ইনাকি উইলিয়ামস ঘানাকে সমতায় ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত সান্তোসের দল স্বস্তিদায়ক তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আজ জয়ী হতে পারলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি পর্তুগালের জন্য নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হয়ে দাঁড়াবে।





২০০৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের শেষ ১৬ পার করতে পারেনি পর্তুগিজরা। এই গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে গেলে গ্রুপ-‘জি’র রানার্স-আপদের সাথে তাদের খেলতে হবে। দলটি হতে পারে ব্রাজিল, সুইজার্যলান্ড, ক্যামেরুন কিংবা সার্বিয়ার মধ্যে যেকোনো একটি দল।





চার বছর আগে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল একে অপরের সাথে শেষ ১৬-তে খেলেছে। অভিজ্ঞ তারকা এডিনসন কাভানির জোড়া গোল করে উরুগুয়ে পর্তুগালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে শেষ আটে গিয়েছিল। সে কারণে পর্তুগালের সামনে চার বছর আগের পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগও এসেছে।





দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের হয়ে দিয়েগো গোডিন ও ফেডেরিকো ভালভার্দে পোস্টে বল না লাগালে ম্যাচের ভাগ্য হয়তো ভিন্ন হতে পারত। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। দিয়েগো আলোনসোর দল কখনই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হয়নি কিংবা পরের রাউন্ডের জন্য অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু পর্তুগালের বিপক্ষে পরাজিত হলে ঘানার সাথে শেষ ম্যাচের আগে বেশ বিপদেই থাকবে উরুগুয়ে।





প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ১৯৫০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছিল। সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপেও তারা ইতিবাচক ফলাফল নিয়েই বাড়ি ফিরেছে। ২০১০ সালে চতুর্থ হওয়ার পর ২০১৬ বিশ্বকাপে শেষ ১৬ ও চার বছর আগে রাশিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি।





এর আগে তিনবার পর্তুগালের মোকাবেলা করেছে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি। এর মধ্যে সর্বশেষটি ছিল চার বছর আগে বিশ্বকাপের শেষ ১৬-তে। কাতার বিশ্বকাপের দলেও উরুগুয়ে অভিজ্ঞদের ওপরই আস্থা রেখেছে। গোডিন, মার্টিন কাসেরেস, কাভানি ও লুইস সুয়ারেজের কাঁধে ভর করে আরো একবার শেষ ১৬-তে যাওয়াই এখন তাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।





অর্থসংবাদ/কেএ


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে