গত মাসে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও চলতি বছরের এপ্রিল-অক্টোবর মেয়াদে ভারতের ওষুধ রফতানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। যা থেকে আয়ের পরিমাণ পৌঁছেছে ১ হাজার ৪৫৭ কোটি ডলারে। ভারত সরকারের রফতানি উন্নয়ন সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে খবরটি প্রকাশ করেছে দ্য হিন্দু।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ফার্মেক্সিল) মহাপরিচালক উদয় ভাস্কর বলেন, গত অর্থবছরে আয় ছিল ২ হাজার ৪৬২ কোটি ডলার। সে তুলনায় চলতি অর্থবছরে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করি।
তিনি আরো বলেন, জুলাইয়ে রফতানি কমেছে (মাইনাস শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ) এবং (মাইনাস ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ), তবে সেপ্টেম্বরে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। আমি আশাবাদী আগামী মাসগুলোয় রফতানি আরো পুনরুজ্জীবিত হবে এবং চলতি অর্থবছর শেষে তা ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ঘর ছুঁতে পারবে।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এ বাবদ দেশটির রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো (নাফটা দেশগুলোসহ), ইউরোপ ও আফ্রিকায় মোট রফতানির ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ (প্রায় ৫০০ কোটি ডলার) অন্তর্ভুক্ত।
উদয় ভাস্কর এ সম্পর্কে বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন জাতীয় ওষুধ রফতানি পরিস্থিতি বেশ খারাপ অবস্থায় আছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সত্ত্বেও আমরা মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছি। তবে অক্টোবরে রফতানি ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ১৯৫ কোটি ডলার হয়।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতের সামগ্রিক রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ২ হাজার ৯৭৮ কোটি ডলার হয়। তবে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর সময়কালে রফতানি ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড করে।
ভাস্কর বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হওয়ার ফলে অক্টোবরে রফতানি কমেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ভারতের শীর্ষ পাঁচ ওষুধ রফতানি বাজারের একটি নাইজেরিয়া। কিন্তু মার্কিন ডলারের বিপরীতে নাইজেরিয়ান নাইরারের ক্রমাগত অবমূল্যায়ন দেশটিকে আমদানি কমাতে বাধ্য করে। স্বাভাবিকভাবেই দেশটিতে ভারতের ওষুধ রফতানি কার্যক্রম প্রভাবিত হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া সম্প্রতি তার এক টুইটে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারত বৈশ্বিক ফার্মা পাওয়ার হাউজ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মন্ত্রী একটি ইনফোগ্রাফিক ট্যাগ করে লেখেন, এপ্রিল থেকে অক্টোবর সময়কালে উৎপাদিত ওষুধের রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯০ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ, যা ২০১৩ সালের ৩৮ হাজার কোটি রুপি আয়ের তুলনায় প্রায় ১৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
অর্থসংবাদ/এনএন