জাপানে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি গত নভেম্বরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সে তুলনায় দেশটির মানুষের মজুরি বাড়েনি। এতে মূল্যস্ফীতি ৪১ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
গত মাসের কোর মূল্যস্ফীতি ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। সে সময় দেশটির কোর সিপিআই ৪ শতাংশ বেড়েছিল। ১৯৭৯ সালে জ্বালানি বাজারে উল্লম্ফন এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির প্রভাব মূল্যস্ফীতিকে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের কারণে তেলের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং সব ধরনের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূল্যস্ফীতি বাড়লেও জাপানের মানুষের মজুরি বাড়েনি। ফলে দেশটির সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির তথা পণ্যের উচ্চমূল্যের যন্ত্রণা ভোগ করছেন। মূল্যস্ফীতি বাড়লেও অর্থনীতি চাঙা করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য ব্যাংক অব জাপান উদার মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। এতে বাজারে অর্থের সরবরাহ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না অন্য পদে থাকা ব্যক্তি
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম ১৯৯০ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে। প্রতিটি মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫১–তে।
জাপান বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতির দেশগুলোর একটি। দেশটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জি৭ ভুক্ত অন্যান্য দেশের নীতি সুদ হার বাড়ানোর নীতিকে সমর্থন জানিয়ে আসছিল।