নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বিশেষায়িত ট্যাক্স ফার্ম ব্যামব্রিজ এ্যাকাউন্ট্যান্টস এর মতে, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসেই ৫ হাজার ৮০০ আমেরিকান তাদের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ পুরো ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৭২ জন।
ফার্মটি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী, অভিনেতা ও অন্যান্য ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিবর্গের হয়ে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার কাজগুলো করে থাকে। ফার্মটি জানায়, সরকারি তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা জানতে পেরেছে যে কোন কোন আমেরিকান নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে।
ব্যামব্রিজ এ্যাকাউন্ট্যান্টসের একজন অংশীদার এ্যালিস্টার ব্যামব্রিজ বলেন, ‘এরা হলেন সেই সব মানুষ যারা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সবকিছু নিয়ে তাদের অনেক হয়েছে। আমরা দেখছি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যা ঘটছে, মহামারীকে যেভাবে সামাল দেয়া হচ্ছে এবং এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতি নিয়ে অনেক মানুষ বিরক্ত।’
ব্যামব্রিজ বলছে, নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করার ঘোষণা দেয়া অনেকে বর্তমান রাজনৈতিক আবহকে দায়ী করলেও অনেকে আবার বড় কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন করের বিষয়টিকে।
বিদেশে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হয়, ব্যাংক এ্যাকাউন্টস, বিনিয়োগ ও পেনশনের হিসাব দাখিল করতে হয়। এসব নাগরিকরা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১২০০ ডলারের চেক এবং প্রতি সন্তানের জন্য ৫০০ ডলারের চেক পাওয়ার অধিকার লাভ করলেও করের বার্ষিক প্রতিবেদনটি তাদের কাছে বাড়াবাড়িই মনে হয়।
যেসব আমেরিকান নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে চান তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান না করেন তবে বর্তমানে যে দেশে রয়েছেন সেখানকার আমেরিকান দূতাবাসে হাজির হয়ে আবেদনের সঙ্গে ২ হাজার ৩৫০ ডলার জমা দিতে হয়।
এ্যালিস্টার মনে করছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সংখ্যা বাড়বে। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচনে কী ঘটবে তা দেখার অপেক্ষায় আছেন অনেকে। ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে আমাদের বিশ্বাস, আমেরিকানদের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করার ঢেউ জাগবে।’
সূত্র: সিএনএন