২ জানুয়ারি লেনদেনের শুরুতে বোম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘বিএসই সেনসেক্স’ এর অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৮৪০ পয়েন্টে। ৬ জানুয়ারি লেনদেন শেষে সূচকটি ৫৯ হাজার ৯০০ পয়েন্টে স্থির হয়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ‘বিএসই সেনসেক্স’ ৯৪০ পয়েন্ট হারিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজারেও বিদায়ী সপ্তাহে পতন হয়েছে। ২ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর আগে কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘এএসপিআই’ ছিল ৮ হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে। ৫ জানুয়ারি লেনদেন শেষে সূচকটি স্থির হয়েছে ৮ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।
এক সপ্তাহে ভূটানের শেয়ারবাজারেও মূল্যসূচক কমেছে। দেশটির ‘বিএসআই’ সূচক সপ্তাহজুড়ে ৮ পয়েন্ট হারিয়েছে।
অপরদিকে, পাকিস্তান ও নেপালের শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে উত্থান হয়েছে। ২ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর আগে পাকিস্তান শেয়ারবাজারের সূচক ‘কেএসই ১০০’ ৪০ হাজার ৪২০ পয়েন্টে ছিল। ৬ জানুয়ারি লেনদেন শেষে সূচকটি দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ‘কেএসই ১০০’ সূচকে যোগ হয়েছে ৫৮৭ পয়েন্ট।
এছাড়াও নেপালের শেয়ারবাজারের সূচক ‘এনইপিএসই’ গত সপ্তাহে ১১৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটি ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে স্থির হয়।
এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গেল সপ্তাহে সব সূচক কমেছে। প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ এক সপ্তাহে ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৬ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। একইসঙ্গে ‘ডিএসই এস’ ৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস ৩০’ সূচক ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমেছে।
সব সূচকের পতন হলেও গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের মূলধন কমেছে ৩২৮ কোটি ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮৬ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ২৪৬ টাকা।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৫টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ১৩৩টির, বিপরীতে মাত্র ৪৪ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে শেয়ার লেনদেনে অংশ নেয়নি ১৮ প্রতিষ্ঠান।