বিশ্বজুড়ে করোনার চলমান তাণ্ডবের মধ্যেই এই অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছতে চীনকে নিঃসন্দেহে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। পুনরায় সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি সামলাতে বৈশ্বিক চাহিদা পতনের ধাক্কা। মূলত এখন পর্যন্ত চীনের এ সফলতার পেছনে বেশকিছু বিষয় কাজ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি জনগণের সমর্থন। এছাড়া সব শেষে বিশ্বব্যাপী চীনের রফতানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা করোনাজনিত মন্দা থেকে উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, সংক্রমণ শুরুর দিকে পতন হলেও কারখানা ও খুচরা বিক্রেতারা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ায় জুলাইয়ে বহির্বিশ্বে বিক্রি বেড়েছে।
প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী, জুলাইয়ে অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার থেকে কম হলেও এক বছর আগের তুলনায় শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে সার্বিকভাবে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় খুচরা বিক্রির পতন হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে বছরের প্রথম সাত মাসে স্থির সম্পদের বিনিয়োগ কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
হংকংয়ে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ টমি উ বলেন, চীনের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বর্তমানে সঠিক পথেই রয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে বিনিয়োগ। বিশ্বের অন্য সব দেশের সঙ্গে এখানেই চীনের পার্থক্য গড়ে উঠছে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে প্রধানত বেকারত্ব ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের ওপর। আর এ বিষয়টিই বলে দিচ্ছে যে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার তুলনামূলক প্রাথমিক পর্বেই কেন চীনের অর্থনীতি খুব দ্রুত শক্ত অবস্থান গড়তে পারছে।