বিপর্যয়ের জেরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের মতে, দেশটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৮৯৪ জনে। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১,৯০০ জনের ওপরে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ওরহান তাতারের ভাষ্যে, দেশটিতে আহত হয়েছেন ৩৪,০০০ এর বেশি মানুষ; পাশাপাশি ভবন ধসেছে প্রায় ১১,০০০।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভূমিকম্পের এই বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে পারে ২৩ মিলিয়ন মানুষের ওপর। সংস্থাটি বলেছে, বেসামরিক ও স্বাস্থ্য অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর একই দিনে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূকম্পন আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) মতে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি।
শক্তিশালী এ ভূকম্পনের ধাক্কা টের পাওয়া গেছে সুদূর গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত। গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ এ তথ্য জানায়।
বেঁচে যাওয়ারা জানিয়েছেন, কম্পন শেষ হতে পুরো ২ মিনিট লেগেছে। ৭.৫ মাত্রার দ্বিতীয় কম্পনটির কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান জেলায়।
এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ; পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ৯ হাজার সেনাসহ অন্তত ১২ হাজার উদ্ধারকারী কাজ করছেন তুরস্কে। ৭০টির বেশি দেশ উদ্ধারকারী দল ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে, ত্রাণ সহায়তা পাঠানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে সিরিয়ায়।
অর্থসংবাদ/এসএম