এদিকে, জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানায়। সংস্থাটি এখন আরও জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।’
তুরস্কে এখনো উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রতিদিন উদ্ধার হওয়া মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, ভূমিকম্পের ১০ দিনেরও বেশি সময় পর।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এখনো নিখোঁজ স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছেন। যদি তারা ‘অলৌকিকভাবে’ বেঁচে যান সে আশায়। ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিং কোড, এমন অভিযোগ করছেন তারা। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এসব এলাকায়। যদিও তুরস্কের সরকার ভবন ধসের ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে। কারও গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানিয়েছে তারা।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, সেদিন স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। এরপর আঘাত হানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ। পূর্ব দিকের নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে তুরস্ক, সিরিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে তুরস্ক ও সিরিয়া।