শুক্রবার এক ঘোষণায় প্রাকৃতিক গ্যাসের এই খনির সন্ধান পাওয়ার কথা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। জানান, এটি তুরস্কের ইতিহাসে পাওয়া মজুতকৃত গ্যাসের সবচেয়ে বড় খনি। গ্যাসক্ষেত্রটিতে উত্তোলনে যাওয়া যাবে ২০২৩ সাল নাগাদ।
খনিটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হলে, জ্বালানি আমদানিতে তুরস্কের রাশিয়া, ইরান ও আজারবাইজানের ওপর নির্ভরতা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইস্তাম্বুলের ওটোমান প্যালেস থেকে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “কৃষ্ণ সাগরে তুরস্ক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে।”
এ সময় কৃষ্ণ সাগরের পশ্চিমাঞ্চলে ড্রিলিংয়ের কাজে থাকা একটি জাহাজের কার্যক্রমের ভিডিও দেখানো হয়। জাহাজটি তুরস্কের উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গ্যাসক্ষেত্রটির সন্ধান পায় বলে জানানো হয়।
এরদোয়ান বলেন, “সত্যিকার অর্থে এই মজুত আরও বড় জ্বালানি উৎসের অংশ। সৃষ্টিকর্তা চাইলে এমন আরও কিছু পাওয়া যাবে। আমরা জ্বালানি রপ্তানিকারক হওয়ার আগ পর্যন্ত অনুসন্ধান কাজ বন্ধ করা হবে না।”
তুরস্কের এই গ্যাসক্ষেত্রকে ২০২০ সালের অন্যতম বৃহত্তম আবিষ্কার হিসেবে উল্লেখ করেছেন কনসালটেনন্সি প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেনজির মুখপাত্র টমাস পুরডাই।
“ব্যাপ্তির দিক থেকে এটি তুরস্কের সবচেয়ে বড় অনুসন্ধান। এটি ২০২০ সালে বৃহত্তম আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কের অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা লিরার রেকর্ড পতন হয়েছে।
গ্যাসক্ষেত্রটির উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারলে মন্দা কাটিয়ে তুরস্কের অর্থনীতিকে আরও গতি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জ্বালানি আমদানিতে কমে আসবে খরচ। শুধু গত বছরই জ্বালানি আমদানির জন্য ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে দেশটির।