দেশটির শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবে শিল্প বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৪২৮ ট্রিলিয়ন সৌদি রিয়াল।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, গত বছর ১ হাজার ২৩টি কারখানার কার্যক্রম চালু হয়। এসব কারখানায় বিনিয়োগ করা হয় ২ হাজার ৮৭৯ কোটি সৌদি রিয়াল। এছাড়া ৯৬৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্সও ইস্যু করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত বছর সৌদি আরবের শিল্প খাতে ৫১ হাজার ৭২৩টি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত খনির লাইসেন্সের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৭২টি। যার মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৩টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল কোয়ারি লাইসেন্স, ৬৩৫টি এক্সপ্লোরেশন লাইসেন্স, ১৭৮টি মাইন ও স্মল মাইন এক্সপ্লোরেশন লাইসেন্স, ৪৩টি রিকনাইসেন্স লাইসেন্স এবং ৩৩টি সারপ্লাস মিনারেল ওরস লাইসেন্স।
চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরবের শিল্প ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী বান্দার আল-খোরায়েফ জানিয়েছেন, দেশটির ‘ইনভেস্ট সৌদি প্লাটফর্মে’ ২১২টি শিল্প বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় ঘোষিত ১৬৩টি বিনিয়োগের সুযোগের মধ্যে ইনভেস্ট সৌদি প্লাটফর্মের মাধ্যমে ৮২টি বিনিয়োগ করা হয়। এছাড়া এখানে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ আরো অন্যান্য বিনিয়োগ যোগ করা হবে।
আল-আহসা বিনিয়োগ ফোরামে কথা বলার সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শিল্প খাত ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। যার লক্ষ্য শিল্প নবজাগরণ ও কৌশলগত খাতে বড় ধরনের সক্ষমতা অর্জন।’
ইনভেস্ট সৌদি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম, যার বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
খনি খাত সৌদির অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টার অন্যতম ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্কুল ফর মাইনসের দ্য পেইন ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসিরি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিয়োগের শোভন পরিবেশের কারণে সৌদি আরব খনি খাতের বিশ্বনেতা হতে প্রস্তুত।