এসময় আইএমএফ দল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। কেননা প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) এর অধীনে বিতরণ করা হবে।
আরএসএফ বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের বিষয়টিকে সমর্থন করতে, জলবায়ু অর্থায়নকে প্রভাবিত করতে এবং আমদানি-নির্ভর জলবায়ু বিনিয়োগ থেকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের চাপ কমাতে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছে, এখানে অবস্থানকালে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের জন্য ঋণের পরবর্তী কিস্তি দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের হালনাগাদ তথ্য জানতে চাইবে।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ, বৈদেশিক মুদ্রার হার, মুদ্রানীতি, ঋণ পুনরুদ্ধার, সুদের হার, জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়সহ বিভিন্ন নীতি সংস্কার বাস্তবায়ন করছে।
প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি খাতকে জ্বালানি আমদানির অনুমতি দেয়া এবং খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো।
এছাড়া জ্বালানি পণ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম ব্যবহারভিত্তিক করা এবং কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে।
এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইতোমধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
অর্থসংবাদ/এসএম