সেই লজ্জা থেকে রক্ষা হয়েছে শেষ ওয়ানডেতে জয়ের ফলে। শুধু লজ্জা থেকে বাঁচাই নয়, আরেকটি ইতিহাস গড়ার ভিতও রচনা হয়েছে চট্টগ্রামে। ওয়ানডে সিরিজের পর চট্টগ্রামেই শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস জয় থেকে সৌভাগ্যের বাতায়ন শুরু। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ইংলিশরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ম্যাচটির। কিন্তু শেষ দিকে এসে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফলে স্কোর খুব বড় হতে পারেনি সফরকারীদের। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থেমে যায় তারা।
জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এবং সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর দুর্দান্ত ফিনিশিং, বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। ১২ বল এবং ৬ উইকেট অক্ষত রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি, ইংল্যান্ড এই দুই ফরম্যাটেই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ওয়ানডে এবং টেস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে এর আগে জয়ের রেকর্ড থাকলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রানির দেশকে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই ইতিহাস গড়া মাহেন্দ্রক্ষণ ধরা দিলো চট্টগ্রামে, ৯ মার্চ। বাঘের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে শুধু প্রথম জয়ই নয়, এবার বাংলাদেশের সামনে প্রথম সিরিজ জয়ের হাতছানিও দিচ্ছে। ঢাকায় কি সেই অপূর্ণতার পূর্ণতা পাবে? ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকেও সিরিজে পরাজিত করার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। এবার ইংলিশ বধ করার দারুণ হাতছানি সাকিবের দলের সামনে।
আজ বিকেল ৩টায় মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ার মাহেন্দ্রক্ষণ তৈরি হতে পারে। চট্টগ্রামে যে আত্মবিশ্বাসের সন্ধান সাকিব আল হাসানরা পেয়েছে, সেটাকে যদি মিরপুরে বয়ে নিয়ে আসতে পারে টাইগাররা, তাহলেই রচিত হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সেই বিরল ইতিহাস।