স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ মার্চ) ইকুয়েডরের উপকূলীয় অঞ্চল এবং পেরুর উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ভূমিকম্পের জেরে সেখানে একাধিক বাড়ি, স্কুল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আল জাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় বের হয়ে এসেছেন।
কম্পনটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গুয়াকিলের প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণে কেন্দ্রীভূত ছিল, যা তিন মিলিয়নেরও বেশি লোকের একটি মেট্রো এলাকায় আঘাত হানে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "আজ (১৮ মার্চ) সকালে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করার জন্য আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সংহতি ও অঙ্গীকার প্রকাশ করছি। "
প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই এল ওরো প্রদেশের অধিবাসী।
সংস্থাটি জানিয়েছে, কমপক্ষে ৪৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ৯০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫০টি শিক্ষা ভবন এবং ৩০টিরও বেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভূমিধসের কারণে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশটির সান্তা রোসা বিমানবন্দরের সামান্য ক্ষতি হলেও তা চালু রয়েছে বলেও জানানো হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম