অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার আমাদের দেশে অথবা বিদেশে জন্ম নেবেন কিনা, সেটি সত্যিই একটা প্রশ্নের দাবি রাখে। এ রকম একজন ব্যক্তিকে আমাদের মাঝে পেয়ে বাংলাদেশ বিমান অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
সাকিব আল হাসান বলেন, ছোটবেলায় যখন কোনো প্লেন আকাশে উড়তো, তখন আমি আমার বন্ধুরা খেয়াল রাখতাম সেটি কোন এয়ারলাইন্সের। তখন থেকেই আমার বিমানের প্রতি আগ্রহ। পরে তো বিমানের হয়ে খেলেছিও। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিমানকে খুবই পছন্দ করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কীভাবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, সেই দিক থেকে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা করে আসছেন। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি এবং বিমানের ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে পারি, তাহলে অন্যান্য যেকোনো দেশের বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, আজকে আমরা স্বাধীন মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, যে দেশের জন্য ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, দুই লাখ মা-বোন ইজ্জত হারিয়েছেন তাদের কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের যে নবপ্রজন্ম তারা আমাদের স্বাধীনতারই ফসল। আমরা মনে করি, বিমান আপনাদেরই এয়ারলাইন্স। স্বাধীনতার পর থেকেই ভালো-মন্দ মিলিয়ে বিমান দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে। সে বার্তা জানানোর জন্য আমাদেরই ঘরের ছেলে সাকিব আল হাসানকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের বহরে যে বিমান আছে, যখন আমরা এনেছিলাম অনেক ধনী দেশেও এ ধরনের বিমান ছিল না। আমরা যাতে আমাদের সেবার মান সুন্দর করতে পারি, সুনাম যেন আমরা তুলে ধরতে পারি, সেজন্য সাকিবের যে আদর্শ আমরা সেটি মেনে চলব।
অনুষ্ঠানে বিমানের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাকিল মেরাজ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিমানের অবদান তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) ছিদ্দিকুর রহমান, বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার, বিমানে রেভিনিউ ও এফএমআইএসের মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রশীদসহ পরিচালক ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম