বিশ্বব্যাংকের র্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন বলছে, উত্তর ও পশ্চিম সিরিয়ায় ৬-২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যতগুলো ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তাতে দেশটিতে বাহ্যিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭০ কোটি ডলারের। সেই সঙ্গে আরো ১৫০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতি ৫২০ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাংক এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২৩ সালে সিরিয়ার অর্থনীতি ৩ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হবে। কারণ দেশটিতে ১২ বছর ধরে সংঘর্ষ লেগে রয়েছে, ভুগতে হচ্ছে শস্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং স্বল্পতায়, সেই সঙ্গে পানি ঘাটতিতে শস্য উৎপাদনও সীমিত।
ভূমিকম্পে এ বছর জিডিপি সংকোচন আরো ২ দশমিক ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।
এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, মূলত বাহ্যিক মূলধন নষ্ট হওয়া এবং বাণিজ্য কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাতে আরো বেশি সংকোচনের চিত্র দেখা দেবে। মূল্যস্ফীতি আরো উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। প্রাথমিকভাবে তা শুরু হবে বিভিন্ন পণ্যের অভাব দিয়ে। সরবরাহ খরচ ও পুনর্গঠন উপাদানগুলোর মোট চাহিদা বৃদ্ধিও এর কারণ।
বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ছয়টি অঞ্চলে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কর্মকাণ্ডে অন্তত ৭৯০ কোটি ডলার প্রয়োজন। তার মধ্যে ৩৭০ কোটি ডলার প্রয়োজন পড়বে প্রথম বছরেই। বাকি দুই বছরে আরো ৪২০ কোটি ডলার খরচ হবে। ব্যাংকটি বলছে, কৃষি খাতের সাহায্য দরকার পড়বে সবচেয়ে বেশি, পরিমাণটা হবে ২৭ শতাংশ, তারপর আবাসন খাতে ১৮, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১৬ ও যাতায়াত ব্যবস্থায় ১২ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এসএম