তবে রাশিয়ার এবারের প্রেসিডেন্সির বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ এর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল ইউক্রেন এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।
রাশিয়ার কাছে এর আগে প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসেই ইউক্রেনে হামলা চালায় দেশটি।
এছাড়া রাশিয়া এমন সময় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্বভার গ্রহণ করল— যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই আদালত অবশ্য জাতিসংঘের কোনো সহকারী সংস্থা নয়।
এদিকে ইউক্রেনের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়াকে প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেওয়া থেকে আটকাতে পারেনি নিরাপত্তা কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, রাশিয়াও যেহেতু কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। ফলে তাদের আটকানোর কোনো উপায় ছিল না।
প্রেসিডেন্সির দায়িত্বের বিষয়টি শুধুমাত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী দূত ভাসিলি নাবেনজিয়া রুশ বার্তাসংস্থা তাস নিউজকে জানিয়েছেন, তিনি পরিকল্পনা করছেন বেশ কয়েকটি বিতর্ক পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।
রুশ দূত আরও জানিয়েছেন, তিনি ‘নতুন বিশ্ব শাসন’ নিয়ে আলোচনা করবেন, যেটি তার মতে ‘এককেন্দ্রীক বিশ্ব শাসনের’ জায়গায় স্থান নেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্সি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘এপ্রিল ফুলের সবচেয়ে সেরা জোকস এটি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনকে আরেকবার ধর্ষণ করল…একটি দেশ যেটি আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ শুরু করেছে, মানবিক ও অপরাধের আইন ভঙ্গ করেছে, জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা উপেক্ষা করেছে, তারা বিশ্বের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে পারে না।’
রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং চীন। -বিবিসি