মালয়েশিয়ার এসএমই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডিং হং সিং চুক্তিগুলোকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি স্থানীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য একটি সুসংবাদ। সফরটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি শক্তিশালী এবং ইতিবাচক সংকেত দেবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়বে। চীনের উচ্চ প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করলে মালয়েশিয়া অনেক কিছু শিখতে পারবে।
সফরে আনোয়ার ইব্রাহিম চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। চীনের কাছ থেকে ১৭০ বিলিয়ন মূল্যের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পেয়েছে মালয়েশিয়া।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্টকে আগামী বছর মালয়েশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। জাতীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার মতে, শি সর্বশেষ ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন। ওই সময় কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
সফরে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সদস্য অ্যাসোসিয়েটেড চাইনিজ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফ মালয়েশিয়ার কোষাধ্যক্ষ জেনারেল কুং লিন লুং বলেন, আনোয়ারের সফর চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে যে মালয়েশিয়া দেশটির একটি ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য অংশীদার।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক যানবাহন (ইভি), ইলেকট্রনিক্স, বিগ ডেটা এবং ডিজিটালাইজেশনসহ ১৯টি ক্ষেত্রে চুক্তি দুর্দান্ত মাইলফলক। এটি অবশ্যই দেশের ওপর ভাল প্রভাব ফেলবে।
কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিভাস রাগভান বলেন, চুক্তিগুলো চীন-মালয়েশিয়ার জন্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভাল লক্ষণ। চীনের বিনিয়োগ অবশ্যই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, আধুনিক কৃষি এবং জৈব-চিকিত্সার জন্য প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।