আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বজলুর রশিদ বলেন, আমরা এখানে এসেছি নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। বঙ্গবাজারে আগুনের সঙ্গে এই পরিদর্শনের কোনো সম্পর্ক নেই।
ঠিক এই মুহূর্তে রাজধানীর কতটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ, এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের অনেক মার্কেট ও কাঁচাবাজার ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঠাঁটারীবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, চকবাজারসহ বিভিন্ন জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সব মার্কেটেই কিছু না কিছু ঝুঁকি রয়েছে। কারণ কেউ ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই আমাদের দৃষ্টিতে বেশির ভাগ মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অনুরোধ করব মার্কেটগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা যেন শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়।
গাউছিয়া মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, গাউছিয়া মার্কেটে শুধু ফায়ার সার্ভিস নয়, এনএসআই-ডিজিএফআই প্রতিনিধিসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। একটি সার্ভে করে ফরম ফিলাপ করেছি। আগুন নির্বাপণের জন্য বা দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য যেসব সাজসরঞ্জাম প্রয়োজন, এই মার্কেটে সেসব ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল বা পর্যাপ্ত নয়। একই সঙ্গে পরিদর্শনে বিদ্যমান ঘাটতিগুলো সমাধানে সুপারিশ দ্রুতই মার্কেট নেতাদের কাছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর মো. আল মাসুদ, গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বিশ্বাসসহ দোকান মালিক সমিতির বিভিন্ন নেতা উপস্থিত ছিলেন।