তবে গত মাসে সাগরপথে রাশিয়া যে পরিমাণ তেল রপ্তানি করেছে এবং দেশটির স্থানীয় পরিশোধনাগারে যে পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হয়েছিল, সেটির সঙ্গে এ তথ্যের অসামঞ্জস্য রয়েছে।
তবে রুশ মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রের মাধ্যমে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে- দেশটি এখন কী পরিমাণ তেল আসলে উৎপাদন করছে সেটি নিশ্চিত নয়।
গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার এবং তেল সরবরাহে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করায় মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করার ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। তবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ঘোষণার চেয়ে উৎপাদন আরও ৪০ শতাংশ কম ছিল।
সৌদি আরবসহ তেল উৎপাদনকারী জোট ওপেকের আট সদস্য দেশ আগামী মে মাস থেকে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এ সিদ্ধান্তের কারণে প্রতিদিন বাজারে ১৬ লাখ ব্যারেল কম তেল আসবে। মূলত বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলো।
তবে ওপেক সদস্য দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে যায়। একটা সময় প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক জানিয়ে ছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করা হয়েছিল সেটিকে ভিত্তি ধরে উৎপাদন কমানো হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন ১ কোটি ১ লাখ (১০ দশমিক ১ মিলিয়ন) ব্যারল তেল উৎপাদন করেছিল রাশিয়া।
নাম গোপন রাখার শর্তে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনকারীরা গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার টন জ্বালানি উৎপাদন করেছেন। যা ৯০ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলের চেয়ে একটু বেশি। তার মানে প্রতিদিন তেল উৎপাদন ৭ লাখ ব্যারেল কম হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম