তাই ইফতারে সবার উচিত ডাবের পানি পান করা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, গ্রীষ্মের দিনে পানির পর আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত ডাবের পানি।
ডাবের পানি পান করলেই শরীরে কুলিং ইফেক্ট পাওয়া যায়। এছাড়া এতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার, যা দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানি নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকে। অনেক রোগ-ব্যাধি থাকে দূরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত ইফতারে ডাবের পানি পান করলে শরীরের কী কী উপকার মেলে-
পানির ঘাটতি দূর হয়
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানাচ্ছে, গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ডাবের পানি হলো আশীর্বাদ স্বরূপ। এই পানি শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে। আসলে গরমে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম বের হয়ে যায়।
এমনকি পানির ঘাটতিও তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে শরীরকে সুস্থ রাখতে খেতে পারেন ডাবের পানি। এতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফেরায়। তাই রোজার এ সময় ইফতারে রাখুন ডাবের পানি।
ক্যালোরি খুব কম
এই পানীয়ে আছে প্রাকৃতিক মিষ্টি। যা ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায় না। অন্যদিকে বিভিন্ন পানীয়ে চিনি মেশানোর ফলে এমন পানীয়তে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়।
সেদিক থেকে ডাবের পানি দারুণ বিকল্প হতে পারে। এতে ক্যালোরি থাকে কম। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে না।
ফ্যাট ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে
ডাবের ৯৪ শতাংশই পোনি। এছাড়া এই পানি ফ্যাট ও কোলেস্টেরল ফ্রি। অর্থাৎ এই পানীয় পান করলে ফ্যাট বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না।
তাই হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্তরা অনায়াসে খেতে পারেন ডাবের পানি। এমনকি ওজনও কমতে পারে এই পানীয় খেলে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়
কিডনিতে খনিজ জমে জমে স্টোনের আকার নেয়। সাধারণত যারা কম পরিমাণে পানি পান করেন, তাদের কিডনিতে পাথর হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি বা দুটি কিডনিতেই হতে পারে পাথর।
এই সমস্যার সমাধান করতে পারে ডাবের পানি। নিয়মিত পান করলে কিডনিতে খনিজ জমার সুযোগ পায় না। ফলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টিজ, অর্থাৎ জীবাণু ধ্বংস করতে এই পানীয় বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানি মুখে ব্যবহার করলে অ্যাকনে বা ব্রণের সমস্যার সমাধান মেলে।
এছাড়া এই পানীয়ে এমন কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা দেহ থেকে ক্ষতিকর সব উপাদান বের করে দেয়। ফলে নানা ধরনের ত্বকের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।