তবে অন্যান্য জায়গায় যেখানে বার্গেনিং করার সুযোগ আছে সেখানে এ সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাবেন? অনেকেই হয়তো দর কষাকষিতে পটু, আবার কেউ কেউ দর কষাকষি করতে গিয়ে নিজের ঠকে যান!
আসলে কেনাকাটার সময় দর কষাকষি করারও কিন্তু সঠিক নিয়ম আছে, এমনটিই মত অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক হারমেন অপেওয়াল ও মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং এর সিনিয়র লেকচারার ডক্টর রবিন ক্যানিফোর্ডের। চলুন দর কষাকষিতে সফল হতে তাদের পরামর্শ ও টিপস জেনে নেওয়া যাক-
কেনাকাটার আগে গবেষণা করুন
আপনি দর কষাকষি শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে গবেষণা করুন। অন্যান্য দোকানী বা প্রতিযোগীরা কী কী অফার দিচ্ছে আর আপনি কী চাচ্ছেন, ওই পণ্যের যুক্তিসঙ্গত মূল্য কী হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন।
এজন্য আগে বাজার ঘুরে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম জানুন ও পরে কেনার সময় দর কষাকষি করুন। তাহলে ঠকবেন না, আর বিক্রেতাও আপনাকে ঠকাতে পারবেন না। ফলে আপনার দরেই পণ্যটি পেয়ে যাবেন।
বিনয়ী হতে হবে
অনেকেই আছেন বিক্রেতার উপর চড়াও হয়ে বসেন, এটি কিন্তু আপনার অভদ্রতা। আপনি ক্রেতা বলেই যে বিক্রেতার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করবেন তা কিন্তু ঠিক নয়।
বিনয়ী হয়ে ও ভদ্রভাবে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলুন ও দামাদামি করুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর ঠিকই বিক্রেতা দাম কিছুটা হলেও কমিয়ে আপনার কাছে পণ্রটি বিক্রি করবেন।
শরীরিক ভাষা সম্পর্কে সচেতন থাকুন
কারও সঙ্গে কথা বা যোগাযোগ করার সময় শারীরিক ভাষা ও মুখের অভিব্যক্তি কিন্তু আপনার বক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। তাই কেনাকাটার সময় দোকানীর সামনে আপনার গেসচার ও এক্সপ্রেশন ঠিক রাখুন।
আপনি রেগে কথা বলে কিংবা বিক্রেতার উপর আক্রোশে ফেটে পড়েন তাহলে তিনিও আপনাকে সম্মান দেখাবেন না। হেসে ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করুন।
বিক্রেতার দৃষ্টিকোণ থেকেও পরিস্থিতি চিন্তা করুন
বর্তমান বাজার সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি বিক্রেতার দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। যদি একেবারেই বিক্রিতা দাম কমাতে না চান, তাহলে অতিরিক্ত বার্গেনিং করবেন না। বরং আপনার না পোষালে অন্য দোকানে গিয়ে ওই পণ্যের সন্ধান করুন।
একাধিক আইটেম কিনুন
এক দোকান থেকে যদি আপনি একাধিন জিনিস কেনেন, তাহলে দর কষাকষি করে আপনি সহজেই সফল হতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেশি পণ্য বিক্রির আশায় দোকানীও আপনার দরেই পণ্য দেবেন।