ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, সাধারণত যে ট্রিটমেন্টগুলোতে ব্লিডিংয়ের সম্ভাবনা কম থাকে, সব ট্রিটমেন্টই রোজা রেখে করা সম্ভব। সেটা ফিলিং হতে পারে, প্লেইন স্কেলিং হতে পারে, অনেক ট্রিটমেন্টই রোজা রেখে করা সম্ভব। এমনকি রুট ক্যানালের মতো জটিল ট্রিটমেন্টও রোজা রেখে করা সম্ভব। এখানে তেমন বড় ধরনের ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
অনেকে যেটি বলে থাকেন, অনেক দিন ধরে দাঁতের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু রমজান মাস বিধায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন না। এ ধরনের কিছু রোগী রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী থাকবে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, আসলে এক মাস কিন্তু কম সময় না। যারা ব্যথায় ভুগছে বা রাতে ওষুধ খেয়ে আছে, নিজে রোজা রেখে তো সারা দিন খালি পেটেই আছে। তারপর যদি ব্যথানাশক খায় বা অ্যান্টিবায়োটিক খায়, এখান থেকে শুধু রোগীর মুখে নয়, সারা শরীরই কিন্তু অনেকটা হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে যদি রোজার সময় মুখে কোনও কষ্ট থেকেই থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। বাসায় বসে রোগ পুষে রাখার কোনও সুযোগ নেই। কারণ, আপনার কী রোগ হয়েছে, তার কী ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি, ডাক্তার খুব ভালোই বুঝবে যে রোজা রেখে আপনি কতটুকু ট্রিটমেন্ট নিতে পারবেন।