এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত দুই দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠান ও রাশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি বিষয়ক ডেটার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ বাহিনী বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাশিয়ার প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেশটির তেলসম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক অনেক ক্রেতা রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত থাকছে।
অন্যদিকে, পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা ইরানেরও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রবেশাধিকার সংকুচিত।
এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে রাশিয়া ও ইরান— দু’দেশের জ্বালানিমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বছর শরতে অবশ্য রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার নোভাক অবশ্য জানিয়েছিলেন, মস্কো শিগগিরই তেহরানে তেল রপ্তানি শুরু করবে। তবে সত্যিকার অর্থে রপ্তানি শুরু হয়েছে চলতি বছরের শুরু থেকে। রপ্তানি ডেটার তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ইরানে ৩০ হাজার টন জ্বালানি তেল রপ্তানি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়া ও ইরানের বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গেছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই অঙ্গরাজ্য কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান দিয়ে রেলপথে তেল যাচ্ছে ইরানে।
ইরান নিজে তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং নিজস্ব কয়েকটি তেল শোধনাগারও আছে দেশটির। তবে সম্প্রতি দেশটির জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক উত্তোলনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে তেলের চাহিদা বাড়ছে বেশি।