হায়াশি বলেন, জি৭ আইনি শাসনভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো ধরে রাখতে বিশ্বের কাছে দৃঢ় প্রত্যয় দেখাবে। তার মতে, আন্তর্জাকির সমাজ ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে।
ইউক্রেন ও তাইওয়ান ছাড়াও জি৭ গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কেও আলোচনা করছেন। সুদানে আচমকা সহিংসতা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগামী মে মাসে হিরোশিমা শহরে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন। বেইজিং সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পর শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যে যে চিড় ধরেছে, সেই ধাক্কা কাটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছে।
ম্যাখোঁ যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপের কৌশলগত আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে তাইওয়ান সংকটকে হালকাভাবে গণ্য করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই মনোভাব দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। ফলে জি৭ গোষ্ঠীর যৌথ বিবৃতিতে তাইয়ান সংকট কতটা গুরুত্ব পায়, সে বিষয়ে বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটেরিন কলোনা জোর দিয়ে বলেন, চীন ও তাইওয়ান সম্পর্কে তার সরকারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন আরো জোরালো হলেও চীন ও তাইওয়ানের প্রশ্নে এখনো পুরোপুরি ঐকমত্য সৃষ্টি হয়নি। মার্কিন প্রশাসন সম্প্রতি চীনের প্রতি আরো কঠোর অবস্থান নিয়ে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন আরো জোরদার করলেও ইউরোপে এখনো তেমন মনোভাব দেখা যাচ্ছে না। ইউরোপের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেফ বরেল বলেন, চীন আরো পেশিশক্তি দেখালেও দেশটির সঙ্গে সংলাপ চালু রাখতে হবে, বাণিজ্যও চালিয়ে যেতে হবে। সেটা না করলে চীনের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব হাতছাড়া হয়ে যাবে এবং অন্য কেউ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসবে বলে জোসেফ সতর্ক করে দেন। তার মতে, চীনের আচরণের ওপর ইউরোপের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্ক নির্ভর করবে।
নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান চীনের ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সরবরাহের শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে অন্যান্য উৎসের সন্ধান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।