রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. মশিউর রহমান রাঙ্গার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।
সংসদে দেওয়া তথ্যমতে রাষ্ট্রায়ত্ব ৬ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৭ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৫৮ কোটি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিকল্প বিরোধী নিষ্পত্তি অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর আওতায় মামলা করা হচ্ছে।
এছাড়া ব্যাংকসমূহ ত্রৈমাসিক রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঋণ আদায়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংক সমূহকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে এবং ব্যাংকার্স সভায় ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে সময়ে সময়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পরামর্শ প্রদান করে।
তাছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খেলাপি গ্রাহকের নিকট হতে ঋণ আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৬ মে বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৫ ইস্যু করা হয়েছে। উক্ত সার্কুলারে সহজ শর্তে ঋণ পুনঃতফসিল এবং এককালীন এক্সিটের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।