হংকংয়ের শীর্ষ নির্বাহী লি বিবৃতিতে বলেন, প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির প্রবৃদ্ধি এর আগের চার প্রান্তিকের সংকোচনের বিপরীত। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমলেও প্রথম প্রান্তিকে সেটি ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। হংকং প্রধান বলেন, ‘যদিও প্রথম প্রান্তিকে রফতানি কমেছে, তবে এভিয়েশন খাতের যাত্রী পরিবহন ক্ষমতার বাড়ানোয় এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে এর আর্থিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে।’ এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় আরো ভালো হবে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার হবে।’
ব্রিটিশ বহুপক্ষীয় ব্যাংক বার্কলেসের অর্থনীতিবিদরা প্রথম প্রান্তিকে জিডিপিতে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচনের প্রত্যাশা করেছিলেন। যেখানে ফরাসি বিনিয়োগ ব্যাংক ন্যাটিক্সিস এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং ব্যাংক যথাক্রমে ১ দশমিক ১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, নিজস্ব মহামারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং চীনের কঠোর জিরো কভিড-১৯ বিধিনিষেধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হংকংয়ের অর্থনীতি। তবে চলতি বছর মূল ভূখণ্ডে ভোক্তা ব্যয় ও পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অঞ্চলটির অর্থনীতি সুফল পাবে বলে প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের। কেননা হংকংয়ের মহামারী প্রতিরোধী সব ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নেতা জন লি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে আরো বেশি দক্ষ জনশক্তি আকর্ষণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় উচ্চমূল্যস্ফীতি ও কঠোর মুদ্রা সংকোচন ঝুঁকিও থাকছে হংকংয়ের সামনে। ফেব্রুয়ারিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অঞ্চলটির নির্বাহী পরিষদের অর্থবিষয়ক সচিব পল চ্যান জানান, চলতি বছরে হংকংয়ের অর্থনীতি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এদিকে বার্কলেস, হ্যাং সেং ব্যাংক, ডিবিএস, ন্যাটিক্সিস ও স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ডের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর হংকংয়ের জিডিপি ৩ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে।
ন্যাটিক্সিস করপোরেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ গ্যারি এনজি জানিয়েছেন, গৃহস্থালি ব্যয় বৃদ্ধি ও চীনা বাজার পুনরায় চালু হওয়ায় হংকংয়ের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত। তবে উচ্চ সুদহারের কারণে বিদেশী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চাপ স্বল্পমেয়াদে অব্যাহত থাকতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম