স্থানীয় সময় বুধবার রাতে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা ঘটার কয়েক ঘণ্টা পর, বুধবার ভোরের দিকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রোস্তভের নোভোশাখতিনস্ক তেল শোধনাগারেও ড্রোন হামলা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রোস্তভের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি জানান, বুধবার ভোরের দিকে তেল শোধনারগার লক্ষ্য করে দু’টি বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন উড়ে আসে। তারমধ্যে একটি শোধনাগারের প্ল্যান্টে আছড়ে পড়ে, অপরটি শোধনাগার থেকে অল্প দূরে স্থানীয় বাজার এলাকায় পতিত হয়।
‘ড্রোন দু’টিতে মাঝারিমাত্রার বিস্ফোরক ছিল। প্ল্যান্টে আঘাতের পর সেখানে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে শোধনাগারের কর্মীরা সেই আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। বাজারে যে ড্রোনটি আঘাত হেনেছে, সেটির বিস্ফোরণে দু’টি দোকান উড়ে গেছে। এর বাইরে আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি,’ টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন গভর্নর।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের জ্বালানি তেলের ডিপো ও শোধনাগারগুলোতে ড্রোন হামলা হচ্ছে। রোস্তভে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় অপর শহর ক্রাসোন্দার একটি পেট্রোলের ডিপোতে একটি ড্রোন আছড়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল শহরের একটি জ্বালানি তেলের স্টেশনেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
রুশ সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা আরটিকে জানিয়েছেন, অধিকাংশ হামলায় ক্যামিকাজি ড্রোনের ব্যবহার করছে হামলারকারীরা। বর্তমানে সামরিক ক্ষেত্রে যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক এই ক্যামিকাজি ড্রোন। দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় নিখুঁতভাবে আঘাতের সক্ষমতার কারণে এই ড্রোনকে ক্ষেপণাস্ত্রের সমকক্ষ বলে মনে করা হয়।
বুধবার রাতে ক্রেমলিনে পর পর দু’টি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। রুশ কর্মকর্তারা এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে সরাসরি দায়ী করে বলেছেন— প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই চলানো হয়েছিল এই হামলা।