গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরের টয়োটার পরিচালন মুনাফা ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনে। যদিও এ সময়ে গাড়ি বিক্রির মাধ্যমে রেকর্ড ৩৭ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন আয় করেছে। ইয়েনের নিম্নমুখী বিনিময় হার আন্তর্জাতিক বাজারে টয়োটার বিক্রয় বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
গাড়ি নির্মাতাটির প্রত্যাশা, চলতি অর্থবছরে (আগামী মার্চ পর্যন্ত) উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিট মুনাফা ৫ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে ২৫ লাখ ৮ হাজার কোটি ইয়েনে পৌঁছানো। এছাড়া পরিচালন মুনাফা ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনের কাছাকাছি অর্জন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। টয়োটা এ সময়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশ বিক্রয় বাড়িয়ে রেকর্ড ৩৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন আয় করার প্রত্যাশা করছে।
কিয়োদোর তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে টয়োটার গাড়ি বিক্রি আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়ে ৯৬ লাখ ১০ হাজার ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০১৬ অর্থবছরে ৯০ লাখ ৮ হাজার গাড়ি বিক্রির রেকর্ড ছিল টয়োটার। এছাড়া জাপানভিত্তিক কোম্পানিটির বৈশ্বিক গাড়ি উৎপাদন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৯১ লাখ ৩০ হাজার ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।
‘কভিড-১৯’-এর বিধিনিষেধ ও চিপ সংকটের চ্যালেঞ্জ থেকে টয়োটা যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাম্প্রতিক উপাত্তে সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত অর্থবছরে টয়োটার সর্বোচ্চ বিক্রীত গাড়ির মধ্যে সিংহভাগই ছিল হাইব্রিড ও গ্যাসোলিনচালিত গাড়ি। সামনের দিনগুলোয় বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে (ইভি) জোর দেয়া হবে বলে জানান গত এপ্রিলে দায়িত্ব নেয়া নতুন সিইও কোজি সাতো।
টয়োটা প্রধান কোজি সাতো ইভি সম্পর্কে বলেন, ‘দ্রুততার ভিত্তিতে পণ্য বিকাশের সক্ষমতাই আমাদের মূলশক্তি। গাড়ির লাইনআপ সম্প্রসারণ ও আকর্ষণীয় পণ্য তৈরির জন্য আমরা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্বের বিষয় বিবেচনা করব।’ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ ইভি বিক্রির লক্ষ্য অর্জনের জন্য টয়োটা প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করারও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
বিগত অর্থবছরে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের জন্য ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফা কমেছে ১৫ লাখ ৫ হাজার কোটি ইয়েন। গাড়ি নির্মাতাটি বলছে, ইয়েনের বিনিময় হার কমায় এবং জাপানসহ অন্যান্য এশীয় বাজারে বিক্রয় বাড়ায় বড় ধরনের প্রভাব এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
কোম্পানিটি বলছে, ২০২৩ অর্থবছরে টয়োটা ও লেক্সাস ব্র্যান্ডের রেকর্ড ১ কোটি ১ লাখ গাড়ি উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়েছে, যা গত বছরের ৯১ লাখ ৩০ হাজারের থেকে কিছুটা বেশি। এছাড়া সহযোগী সংস্থা দাইহাসু মোটর ও হিনো মোটর লিমিটেডের সঙ্গে একত্রে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনাও রয়েছে অটো জায়ান্টটির।
অর্থসংবাদ/এসএম