মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরো অব ইউক্রেনের (এনএবিউ) জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ওলেকসান্দর লেমেনকো।
পরে এনএবিইউর ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে সেভেলোদ নায়াজিয়েভের সরকারি বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় এনএবিইউ এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত বিশেষ প্রসিকিউটর স্পেশাল অ্যান্টি-করাপশন প্রসিকিউটর (এসএপি) এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সমন্বিত দল।
‘তল্লাশি অভিযানে তার বাড়ি থেকে ২৭ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সেই অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এরপর তাকে গ্রেপ্তার করেন। সেই অর্থও জব্দ করা হয়েছে,’ বলা হয়েছে এনএবিইউর ফেসবুক পেজে।
এনএবিইউর ফেসবুক পেইজে বলা হয়, সম্প্রতি ইউক্রেনের বিচারবিভাগের দুর্নীতি দমনে মনযোগ দিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন সংস্থা। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও অন্তত ১৮ জন দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতি ও বিচারক আছেন সংস্থার গোপন তালিকায়। ধীরে ধীরে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
দুর্নীতির দীর্ঘ ইতিহাস আছে ইউক্রেনের। ২০২১ সালে জার্মানভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) দেশটিকে 'সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম’ বলে উল্লেখ করেছিল। দুর্নীতির বিচারে টিআই’র তালিকাভুক্ত ১৮০টি দেশের মধ্যে ইউক্রেনের অবস্থান ছিল ১২২ তম।
গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করছে ইউক্রেন। গত বছর রুশ বাহিনী দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ বিষয়ে ইউক্রেনের তদবির আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে ইইউয়ের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই সংস্থার সদস্যপদ পেতে হলে ইউক্রেনের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতে যে ব্যাপক দুর্নীতি— তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে কিয়েভকে।
ইইউ’র এই শর্তের পর দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।