পাপুয়া নিউগিনিতে সাধারণত সূর্যাস্তের পরে কোনো দেশের সফরকারী নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় না। তবে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। মোদি রাত ১০টায় দেশটিতে পৌঁছানোর পরও তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
জাপানে জি-৭ সম্মেলনে যোগদান শেষে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গতকাল রাতে পাপুয়া নিউগিনিতে পৌঁছান মোদি। পরে এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনিতে পৌঁছালাম। বিমানবন্দরে এসে অভ্যর্থনা জানানোয় প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অত্যন্ত বিশেষ এক অভ্যর্থনা পেয়েছি, যা আমার সব সময় মনে থাকবে। আমার সফরকালীন মহান এ দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করব।’
মোদি পাপুয়া নিউগিনির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন জেমস মারাপে। পরে তাঁরা দুজন আবারও কোলাকুলি করেন। এরপর বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানাতে আসা অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিকে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান তাঁরা।
পাপুয়া নিউগিনির ওয়েস্ট নিউ ব্রিটেন প্রদেশের গভর্নর সাসিন্দ্রান মুথুভেলও ওই অভ্যর্থনাকারী দলে ছিলেন। সাসিন্দ্রান বলেন, গভীর শ্রদ্ধা থেকে নরেন্দ্র মোদির পা ছুঁয়েছেন মারাপে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, মারাপের পক্ষ থেকে বিশেষ এ সম্মান প্রদর্শন ছাড়াও মোদিকে বিমানবন্দরে ১৯টি গান স্যালুট, গার্ড অব অনার এবং আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার এফআইপিআইসির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি জেমস মারাপে এবং পাপুয়া নিউগিনির গভর্নর জেনারেল বব দাদায়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মোদি।
এফআইপিআইসি জোটে ভারত ও পাপুয়া নিউগিনি ছাড়া আরও ১৩টি দেশ আছে। এগুলো হলো কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, কিরিবাতি, রিপাবলিক অব মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, নিউয়ে, পালাউ, সামোয়া, সলোমন আইল্যান্ডস, টোঙ্গা, টুভ্যালু ও ভানুয়াতু।