মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ১৯ বছর আজ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলা দেশটির জন্য যেমন বেদনাদায়ক ঘটনা, তেমনি সারা বিশ্বের তার বিশাল প্রভাব রয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা তখন ধারাবাহিকভাবে চারটি আত্মঘাতী হামলা চালায়।
টুইটারে ৯/১১ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর একটি পোস্টে জানায়, ‘১৯ বছর আগে, ঝকঝকে নীল আকাশের নিচে, ১০২টি মিনিট চিরদিনের জন্য আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে। শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালের হামলার ১৯তম বর্ষ পালন করছি। স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশ্বের ইতিহাসের ভয়ঙ্কর হামলাগুলোর একটি ৯/১১ তে হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় হাজার।
সন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের মোকাবেলায় ৯/১১ হামলা বৈশ্বিক মনোভাব ও কৌশল বদলে দিয়েছে।
সেদিন যা ঘটেছিল
• ১৯ আল-কায়েদা সন্ত্রাসী সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে চারটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে।
• তাদের মধ্যে দুটি ম্যানহাটনের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয়েছে।
• তৃতীয় বিমানটি ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে বিধ্বস্ত হয়। পেন্টাগন হচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের প্রধান কার্যালয়।
• আর যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
• মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে দুটি ১১০-তলা টাওয়ার ধসে পড়ে। টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে কমপ্লেক্সের অন্যান্য ভবনগুলোও ভেঙে পড়ে।
• বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের জায়গাটি পরিচ্ছন্নতার কাজ ২০০২ সালের মে মাসে শেষ করা হয়। আর এক বছরের মধ্যে পেন্টাগনের ভবনের মেরামতের কাজ শেষ হয়।
• ৯/১১ হামলার তদন্তের সংকেত-নাম ‘পেন্টবোম’। যেটা এফবিআইয়ের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় তদন্ত ছিল।
• এফবিআইয়ের অর্ধেকেরও বেশি কর্মী হামলাকারী ও তাদের সমর্থকদের শনাক্ত করতে কাজ করেন।