শিশু অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড অপমানজনক এবং তরুণদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে, যা শিশুদের অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তিতে নিষিদ্ধ। এবং ইসরাইল এতে স্বাক্ষরও করেছে।
ইসরাইলের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে রাতের শেষের দিকে তাদের গ্রেফতার করা, আদালতের আদেশ ও কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই গ্রেফতার করা, হাতকড়া পরানো এবং চোখ বেঁধে দেয়া, মা-বাবা ও পরিবারের সদস্য বা আইনজীবীদের সাথে দেখা করতে না দেয়া। সর্বোপরি তাদের মারধর এবং অপমান করা।
সংস্থাগুলো বলে যে এই ঘটনার পর শিশুরা শরীরে ব্যথা এবং মানসিক চাপে ভুগতে থাকে। একাকীত্ব, ভয়, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে, অপমান, অসহায়ত্ব এবং মাঝেমধ্যে মৃত্যুর মতো ভয়ঙ্কর অনুভূতিও সৃষ্টি হয়।
তারা আরো জানায়, মুক্তির পর বেশিরভাগ শিশুদের পোস্ট-ট্রমাটিক লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ইসরাইল ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হ্যামোকেডের নির্বাহী পরিচালক জেসিকা মন্টেল আরব নিউজকে বলেন, যখন ফিলিস্তিনি শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি আসে, তখন তাদের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করার বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করে ইসরাইল।
তিনি বলেন, রাতের বেলা গ্রেফতারের বিষয়টি শিশুদের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। সংস্থাটি এই প্রথার বিরুদ্ধে ইসরাইলের হাইকোর্টে আবেদন করেছে। আমরা ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা-বাবার কাছে সমন পাঠানোর দাবি করেছি।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাবের পরিচালক কাদৌরা ফারিস আরব নিউজকে বলেছেন, ইসরাইলি সামরিক কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছর আগে পশ্চিমতীরে সামরিক দখলের আইন এবং পূর্ব জেরুজালেমের বেসামরিক আইনে ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুদের গ্রেফতার ও বিচারের অনুমতি দেয়ার জন্য সংশোধনী চালু করেছিল।