সূত্র মতে, সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ব আরেক প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে এ প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে ১২ হাজার ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব আরেক প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৪৭৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডও খেলাপি ঋণের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ১০১ কোটি টাকা।
বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। শরীয়াহ ভিত্তিক আরেক প্রতিষ্ঠান আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বেসরকারি খাতের ৪৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ৬৫ হাজার ৮৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ৪ হাজার ৭৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদ/ডব্লিও.এস