বিবিসি জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন ও ওয়াশিংটন রাজ্যের বিস্তৃত এলাকা।
তাপমাত্রার রেকর্ড বৃদ্ধির মধ্যে প্রবল বাতাসের কারণে দাবানল আরও তীব্র হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, এতে হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আর মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের।
জলবায়ু পরিবর্তনই ভয়াবহ এ দাবানলের কারণ বলে দাবি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম। জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে চলা বিতর্ককে এই দাবানল ‘শেষ’ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া একটি পর্বতের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে চলে আসুন, এসে নিজ চোখে পরিস্থিতি দেখে যান।”
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টারএজেন্সি ফায়ার সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দাবানলে মোট ৪৫ লাখ একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের কেনেটিকাট রাজ্য থেকেও বড় একটি এলাকা।
ওরেগনে দমকল কর্মীরা ১৬টি বড় দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছেন। এখানে ৪০ হাজার লোককে বাধ্যতামূলকভাবে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওরেগনের ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট দপ্তর (ওইএম) জানিয়েছে, দাবানলে এ পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।
দাবানলের কারণে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর ওরেগনের কোনো কোনো এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও লুটপাট ঠেকাতে ওরেগন ন্যাশনাল গার্ড ও ওরেগন রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গভর্নর কেইট ব্রাউন জানিয়েছেন। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে বাসিন্দাদের দাবানল আক্রান্ত এলাকাগুলোর বাইরে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।